ভাষাঃ

সব
  • সব
  • সমাচার তথ্য

সংঘের নিয়মাৱলী


প্রথম অধ্যায় সারসংক্ষেপ

প্রথম ধারা এই জোটের পূর্ণ নাম হলো “দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা জোট”, ইংরেজি নাম হলো International Security Alliance for South and Southeast Asia, সংক্ষিপ্ত নাম হলো: ISASSA (এখানে পরবর্তীতে এটিকে জোট বলা হবে)। এই জোটের সরকারি ভাষা হলো ইংরেজি এবং চীনা।

দ্বিতীয় ধারা এই জোটের উদ্দেশ্য: চীন এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অঞ্চলের অর্থনীতি, বাণিজ্য এবং সংস্কৃতির আদান-প্রদানকে উন্নত করা, এই অঞ্চলের দেশগুলির মধ্যে বিনিয়োগ, বাণিজ্য, সম্পত্তি, প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বাজারের প্রধানদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং সুরক্ষা প্রদান করা, নিরাপত্তা পরিষেবা সমন্বয় এবং নির্দেশনা প্রদান করা, নিরাপত্তা পরিষেবার মান এবং গুণমান উন্নত করা এবং নিরাপত্তা শিল্প এবং বিভিন্ন দেশের সরকারী বিভাগ এবং শিল্পের কর্মীদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করা।

তৃতীয় ধারা এই জোটের দায়িত্ব:

(ক) এই অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের সাথে যোগাযোগ, সম্পর্ক এবং প্রচার কার্যক্রম জোরদার করা, বিভিন্ন দেশের সরকার এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের মধ্যে নিরাপত্তা পরিষেবার বোঝাপড়া বৃদ্ধি করা।

(খ) শিল্পের অভ্যন্তরীণ এবং শিল্পের বাইরের সংগঠনগুলির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদানের আয়োজন এবং সমন্বয় করা, সরকার, উদ্যোগ এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মধ্যে সেতু এবং সংযোগের ভূমিকা পালন করা, নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য প্রেরণ করা, শিল্পের পেশাগত মান উন্নত করা এবং নিরাপত্তা পরিষেবা আরও ভালোভাবে প্রদান করা।

(গ) আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা পেশাদার প্রযুক্তিগত আদান-প্রদানে অংশগ্রহণ করা, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সংস্থায় যোগদান করা এবং এর আয়োজিত এবং পরিচালিত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা।

(ঘ) বিনিয়োগকারীদের উপযুক্ত নিরাপত্তা সংস্থা নির্বাচন করার জন্য সমন্বয় এবং নির্দেশনা প্রদান করা, সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া এবং সর্বাত্মক পেশাদার নিরাপত্তা কাজ সম্পন্ন করা।

(ঙ) জোটের পেশাগত মান এবং নীতিমালা গবেষণা এবং প্রণয়ন করা এবং জোটের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিতে এগুলি প্রচার করা।

(চ) দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতির গবেষণা পরিচালনা করা এবং জোটের সদস্যদের কাছে তা জানানো; নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষণা পরিচালনা করা এবং সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠানগুলিকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ধারণা এবং পরিকল্পনা প্রদান করা।

(ছ) জোটের নিরাপত্তা সংস্থা এবং কর্মীদের আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ব্যবসায়িক প্রশিক্ষণ প্রদান করা এবং যোগ্যতা প্রমাণপত্র প্রদান করা, যাতে নিরাপত্তা সংস্থা এবং কর্মীদের পেশাগত স্তর এবং দক্ষতা উন্নত করা যায়।

(জ) নিয়মিত এবং অনিয়মিতভাবে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত ফোরাম এবং সেমিনার আয়োজন করা, জোটের সদস্য ইউনিটগুলিকে ব্যবসায়িক আদান-প্রদানের সুযোগ প্রদান করা।

 

দ্বিতীয় অধ্যায় জোটের সদস্য

চতুর্থ ধারা এই জোটে সামূহিক সদস্যপদ এবং ব্যক্তিগত সদস্যপদ ব্যবহার করা হবে।

পঞ্চম ধারা এই জোটে যোগদানের আবেদন করার জন্য, যারা দেশে জোটের যোগাযোগ কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে, তাদের জোটের যোগাযোগ কার্যালয়ের সুপারিশের মাধ্যমে জোটের অনুমোদন নিতে হবে; যারা দেশে জোটের যোগাযোগ কার্যালয় স্থাপন করা হয়নি, তারা সরাসরি জোটের কাছে আবেদন করতে এবং অনুমোদন নিতে পারে।

ষষ্ঠ ধারা জোটের সদস্যদের অধিকার

(ক) এই জোটের সংশ্লিষ্ট সম্পদ ব্যবহার করার অধিকার;

(খ) এই জোটের আয়োজিত সংশ্লিষ্ট সভায় অংশগ্রহণ করার অধিকার;

(গ) ভোটাধিকার এবং নির্বাচিত হওয়ার অধিকার;

(ঘ) এই জোটের কাজের বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার অধিকার;

(ঙ) এই জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার স্বাধীনতা।

সপ্তম ধারা জোটের সদস্যদের দায়িত্ব

(ক) জোটের নীতিমালা মেনে চলা এবং জোটের বৈধ অধিকার রক্ষা করা;

(খ) জোটের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা এবং জোটের দ্বারা প্রদত্ত কাজ সম্পন্ন করা;

(গ) সময়মতো সদস্যতা ফি প্রদান করা।

 

তৃতীয় অধ্যায় সংগঠন

অষ্টম ধারা এই জোটের সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সংস্থা হলো প্রতি বছর অনুষ্ঠিত জোটের সকল সদস্যদের প্রতিনিধি সম্মেলন।

নবম ধারা প্রতিটি দেশে একটি জোট যোগাযোগ কার্যালয় স্থাপন করা হবে, যা জোটের সকল সদস্যদের প্রতিনিধি সম্মেলনের দ্বারা অনুমোদিত হবে।

দশম ধারা এই জোটের সদর দপ্তর সচিবালয় স্থাপন করা হবে, চীনের যোগাযোগ কার্যালয় এই জোটের সদর দপ্তর সচিবালয়ের দৈনন্দিন কাজ পরিচালনা করবে; স্থায়ী ঠিকানা হলো চীনের ইউনান প্রদেশের কুনমিং শহরের কুনমিং কেন্দ্রীয় আইন বিভাগ।

একাদশ ধারা জোটের সভাপতি এবং উপ-সভাপতি জোটের সকল সদস্যদের প্রতিনিধি সম্মেলনের দুই-তৃতীয়াংশ উপস্থিত সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হবেন। জোটের সভাপতি এবং উপ-সভাপতির মেয়াদ পাঁচ বছর, সভাপতি এবং উপ-সভাপতি কেবলমাত্র একবার পুনর্নির্বাচিত হতে পারেন, সভাপতি এই জোটের মানাদর্শী সভাপতি নিয়োগ করতে পারেন।

প্রথম জোটের সভাপতি এই জোটের চীনের যোগাযোগ কার্যালয়ের মহাপরিচালক হবেন।

দ্বাদশ ধারা মহাসচিব এবং কোষাধ্যক্ষ জোটের সভাপতি কর্তৃক নিয়োগ করা হবে, মহাসচিব জোটের সচিবালয়ের দৈনন্দিন কাজের দায়িত্বে থাকবেন, কোষাধ্যক্ষ জোটের সচিবালয়ের অর্থনৈতিক কাজের দায়িত্বে থাকবেন।

 

চতুর্থ অধ্যায় অর্থ

ত্রয়োদশ ধারা জোটের অর্থের উৎস

(ক) জোটের সদস্যদের দ্বারা প্রদত্ত সদস্যতা ফি;

(খ) সংগঠন এবং ব্যক্তিদের দান;

(গ) জোটের কার্যক্রম থেকে লাভ;

(ঘ) জোটের সভাপতির বার্ষিক সদস্যতা ফি ২০,০০০ মার্কিন ডলার, জোটের উপ-সভাপতির বার্ষিক সদস্যতা ফি ১০,০০০ মার্কিন ডলার, সামূহিক সদস্যদের বার্ষিক সদস্যতা ফি ১,০০০ মার্কিন ডলার, ব্যক্তিগত সদস্যদের বার্ষিক সদস্যতা ফি ৫০০ মার্কিন ডলার।

প্রথম বছরের কার্যক্রমের ব্যয় প্রথম সভাপতি বহন করবেন, প্রতিষ্ঠাতা ইউনিট বা ব্যক্তিদের প্রথম বছরের সদস্যতা ফি থেকে ছাড় দেওয়া হবে।

চতুর্দশ ধারা অর্থ ব্যয়

(ক) জোটের সচিবালয়ের কার্যালয় ব্যয় (কর্মীদের বেতন, ভাতা সহ), সভার ব্যয় এবং কার্যক্রমের ব্যয় ইত্যাদি;

(খ) সভাপতি, উপ-সভাপতি এবং মহাসচিবের যৌথ অনুমোদনকৃত অন্যান্য ব্যয়।

 

পঞ্চম অধ্যায় পরিশিষ্ট

পঞ্চদশ ধারা এই নীতিমালা প্রথম জোটের সকল সদস্যদের প্রতিনিধি সম্মেলনের দুই-তৃতীয়াংশ উপস্থিত সদস্যদের ভোটে অনুমোদিত হওয়ার পরে কার্যকর হবে।

ষোড়শ ধারা এই নীতিমালা প্রণয়ন এবং সংশোধন করার জন্য, জোটের সকল সদস্যদের প্রতিনিধি সম্মেলনে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি প্রতিনিধি উপস্থিত থাকতে হবে, এবং উপস্থিত সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে অনুমোদিত হওয়ার পরে কার্যকর হবে।

সপ্তদশ ধারা এই নীতিমালার ব্যাখ্যার অধিকার এই জোটের সচিবালয়ের কাছে রয়েছে।